ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩০১

হার্ট অ্যাটাক হলে যা করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:১৮ ৫ নভেম্বর ২০২১  

আধুনিক বিশ্বে অপরিণত বয়সে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। হার্ট অ্যাটাকের জন্য কোন একক কারণকে দায়ী করা যায় না। কারণ সমূহের চিকিত্‍সা, প্রতিরোধ ও জীবন যাপন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা প্রতিহত করা যায়। পরিবর্তিত জীবন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হলে সেই আঘাতের তীব্রতা, মাত্রা, যন্ত্রণা এবং জটিলতা অনেক কম হয়।

 

Preventing Heart attack is better than treatment. যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস, চর্বির আধিক্য কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হলে হার্ট অ্যাটাক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, আনষ্ট্যাবল এনজাইনা ইত্যাদি চিন্তা করে তাড়াতাড়ি চিকিত্সা শুরু করা উচিত। হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিকিত্সার জন্য সময় অপচয়ের পূর্বে সঠিক চিকিত্সা শুরু হলে হার্ট অ্যাটাকের জটিলতা ও অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

 

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কি কি

১. বুকে অতুলনীয় তীব্র ব্যাথা,
২. বুকে চাপ/যন্ত্রনা/ভারী লাগা,
৩. বিষম খাওয়া,
৪. দম বন্ধ হওয়া/শ্বাস কষ্ট,

 

৫. প্রচুর ঘাম,
৬. বমি বা বমির ভাব,
৭. অনাগত মৃত্যুর ভয়।

 

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা
চিকিত্সার জন্য রোগীকে দ্রুত নিকটস্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। সন্নিকটে হৃদরোগের চিকিত্সা সুবিধা সংবলিত হাসপাতাল থাকলে সেখানে যাওয়াই উত্তম। হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিক চিকিত্সা গ্রহণ করতে হবে।

 

হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বে বাসা/কর্মস্থল/রাস্তায় যা করতে হবে

১. পর্যাপ্ত আলো বাতাশ নিশ্চিত করণ।
২. জিহবার নীচে দুই চাপ নাইট্রেট স্প্রে বা একটি নাইট্রেট ট্যাবলেট দিতে হবে।
৩. দ্রুত হাসাপাতালে পৌছার ব্যবস্থা।

 

শেষ কথা
আদর্শ জীবন যাপন, রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা সঠিক মাত্রায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন, আলগা লবণ পরিহার, তৈল, চর্বি, মিষ্টি কম খাওয়া, শাক-সবজি বেশি খাওয়া, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি থেকে দূরে থাকতে হবে। হার্ট অ্যাটাক হলে নির্ভীক চিত্তে সময়মত যথাসাধ্য চিকিত্সা করাতে হবে। মানুষের হার্ট একটি, তাই হার্টের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।