ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৯৯

হিজাব মামলার জরুরি শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের ‘না’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৫৬ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

হিজাব মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ নয়- এমনই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে কলেজ খুলে দিতে বলেছিল কর্ণাটক হাই কোর্ট। পরে মামলা সর্বোচ্চ আদালতে গড়ালে ‘সময় এলে শুনানি হবে’ উল্লেখ করে হিজাব-মামলার জরুরিভিত্তিক শুনানির আবেদন খারিজ করে দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। 

 

পাশাপাশি দেশটির শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘হিজাব বিতর্ক দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেবেন না’। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

উল্লেখ্য, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ধর্মীয় পোশাক’ নয়, হিজাব-মামলায় এমনই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে কলেজ খুলে দিতে বলেছিল কর্ণাটক হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক ছাত্রী। হলফনামায় ওই ছাত্রীর দাবি ছিল, হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায় ব্যক্তি-পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষত, মুসলিম মেয়েদের পছন্দের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর।

 

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন যে, ওই মামলার জরুরি ভিত্তিক শুনানি দরকার। যদিও প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘এই ঘটনাকে জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। আমরা জানি কী ঘটছে, কিন্তু এই ঘটনাকে দিল্লি পর্যন্ত টেনে নেয়ার দরকার ছিল কি? চিন্তা করুন, যদি ভুল কিছু হয়, আমরা তা দেখব।’

 

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মান্ডিয়া প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের একটি ঘটনা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব-বোরখা পরিহিত এক ছাত্রীর দিকে প্রায় তেড়ে যাচ্ছেন গেরুয়া উত্তরীয় পরিহিত একদল তরুণ। তাঁদের মুখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি। অন্যদিকে মুসকান খান নামে ওই ছাত্রী পাল্টা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি তোলেন। 

 

বিগত কয়েকটা দিন ধরে হিজাব-বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কর্ণাটক হাই কোর্ট। বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ইউনিফর্ম থাকবে না? পাশাপাশি, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়, যত দিন না সংশ্লিষ্ট মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে। তত দিন হিজাব-সহ কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া চলবে না।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর