ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১
good-food
১৬৯

হিন্দুদের ওপর হামলা: শনিবারও শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০৭ ১০ আগস্ট ২০২৪  

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভের পর আবার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭ টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও চার দফা দাবি শনিবার বিকাল ৩টায় আবার সেখানে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ আসে একদল মানুষ। সেখানে তাদের অবস্থানের কারণে চার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা এলাকা ত্যাগ করলে যান চলা স্বাভাবিক হয়।

 

আন্দোলনকারীদের ৪ দফা দাবি হল-

১. সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।

৩. সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ করতে হবে।

 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ভক্ত সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি শান্তি রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমাদের হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা দেওয়ার মত কেউ নেই। প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনেকে বর্ডারে গিয়ে বসে আছে৷ তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।”

 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরেও হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।

 

 

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ শেষে শনিবারও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন সংগঠন হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে ফেইসবুকে নানা ছবি প্রচার করছে। তবে এতেও হামলা বন্ধ হয়নি।

 

শান্তি রঞ্জন মণ্ডল বলেন, আজ থেকে একটা হিন্দু বাড়ি, মন্দির যেন পাহারা দিতে না হয়। যেভাবে মসজিদ পাহারা দিতে হয় না, সেভাবে মন্দিরও যেন পাহারা দিতে না হয়। আন্দোলনে অংশ নেওয়া নয়ন চক্রবর্তী বলেন, “দেশটা তো সবার। এখানে আমাদের নিরাপত্তা চাই। জামায়াত বা অন্য যে কেউ ক্ষমতায় আসুক আমাদের কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু আমাদের বাসস্থান ও ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা চাই৷

 

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী দিপংকর চন্দ্র শীল বলেন, “আমরা অস্তিত্ব রক্ষায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা নিরাপত্তা চাই। সব সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।