ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১
good-food
১০৬

১৮ হাজার শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৫:০৩ ৫ অক্টোবর ২০২৪  

চলতি বছরের মে মাসে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য আবারও খুলছে। ১৮ হাজার শ্রমিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রথম ধাপে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

 

আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমরা পুরো ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়েছি। আমাদের শ্রমিক দরকার। আর এসব শ্রমিক বাংলাদেশ কিংবা অন্য যেকোনো দেশেরই হোক না কেন, তাদের আধুনিক দাস হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। আমি এখনকার মতো করে এর আগেও প্রকাশ্যে একথা বলেছি।

 

তিনি বলেন, যখন আপনারা আমাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, ৭ হাজার বা তার বেশিদের বিষয় বিবেচনার জন্য, যারা নিবন্ধন করেও রাজনৈতিক অবস্থা, এখানকার অভ্যুত্থানের কারণে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে, আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেটা বিবেচনা করেছি।

 

এই সংখ্যা ১৮ হাজার হওয়ার কথা ড. ইউনূস মনে করিয়ে দিলে ইব্রাহিম বলেন, প্রথম ধাপে ৭ হাজার জনের যাওয়ার উদ্যোগ দ্রুত নেয়া হবে। সব সন্তোষজনক হলে বাকিদেরও ক্রমান্বয়ে নেয়া হবে। শ্রমিকদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওই ১৮ হাজার কর্মী সব ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে এবং যেতে না পারাটা তাদের দোষ নয়। সুতরাং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও পরিবর্তন করা আমাদের দায়িত্ব।

 

চলতি বছর নতুন-পুরাতন বিদেশি কর্মীদের কাজে যোগ দেয়ার জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানের টিকেট স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে ওই সময়ের মধ্যে যেতে পারেননি প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যেতে না পারা এই কর্মীদের নিতে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। 

 

সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে সরকারের আহ্বানে সাড়া দেয়ার কথা জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।