ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৬০

২ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:০৭ ৪ আগস্ট ২০২৩  

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের দুই বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে শুক্রবারও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

 

শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীবাসীর ছুটির সকাল শুরু হয়েছে বৃষ্টি দিয়ে। তবে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা সকাল পেরিয়ে আর এগোয়নি। বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে কেটে যেতে থাকে মেঘ, হেসে উঠে সূর্য।

 

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি উপকূলীয় অঞ্চলে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

 

শুক্রবার সকালে ভারী বর্ষণের সতর্ক বাণীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

 

অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে বললেও সতর্ক বাণীতে জানানো হয়েছে।

 

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর ছত্রিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে উত্তর ছত্রিশগড় এবং তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব মধ্যপ্রদেশ-দক্ষিণপূর্ব উত্তর প্রদেশ এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

 

মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

 

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

 

সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

 

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর ডিমলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

অন্যদিকে, সর্বশেষ বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে জানানো হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

 

এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়-ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।