ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৮৮

মেট্রোরেলে ১৬ ষ্টেশন

২০৩০ সালে বদলে যাবে ঢাকার যানজট চিত্র

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৩৫ ১ জানুয়ারি ২০২০  

রাজধানী ঢাকার যানজটের চিরচেনা দৃশ্য ২০৩০ সালে বদলে যাবে। এ দাবি করে সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বললেন, সব মিলিয়ে ২০৩০ সালে ছয়টি মেট্রোরেলের পৌনে ২০০ কিলোমিটারের সব কাজ যখন শেষ হবে, এর ফলে ঢাকায় যানজটমুক্ত অনিন্দ্য সুন্দর এক দৃশ্যপট আমরা দেখতে পাব। ঢাকা শহরে আজকের যান চলাচলের চিত্রই পাল্টে যাবে।
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন আজ বুধবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও রেল-ট্র্যাক বসানোর কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, এমআরটি লাইন ৬ মেট্রোরেল প্রকল্পের সাড়ে ৮ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলেও আশাবাদ জানান পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী । তিনি বলেন, আশা করছি ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে ইনশাআল্লাহ এমআরটি লাইন ৬, তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রয়োরিটি প্রজেক্ট, মেগা প্রকল্প, ফার্স্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট, মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে, বিজয়ের মাসে উদ্বোধন হবে, এটাই আমাদের নববর্ষের প্রত্যাশা।

মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে ২০৩০ সালে ছয়টি মেট্রোরেলের পৌনে ২০০ কিলোমিটারের সব কাজ যখন শেষ হবে, এর ফলে ঢাকায় যানজটমুক্ত অনিন্দ্য সুন্দর এক দৃশ্যপট আমরা দেখতে পাব। ঢাকা শহরে আজকের যান চলাচলের চিত্রই পাল্টে যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এমআরটি লাইন-১ ও ৫ এর কাজ শুরু হবে। সঙ্গে থাকবে পাতালরেল সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। এরইমধ্যে ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। তাই কাজ দ্রুত শুরু করতে কোনো বাধা নেই।

কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, বাইরে থেকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। অথচ তিন বছর আগেও এখানে বিরানভূমি ছিল। এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান হয়েছে। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সব মেগা প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে।

মেট্রোরেলের লাইন বসানোর সঙ্গে সঙ্গে বসানো হবে ইলেকট্রিক লাইনও। উত্তরা-আগারগাঁও অংশে মেশিনের মাধ্যমে এগুলো বসাতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।

প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে হবে মেট্রোরেলের প্রথম স্টেশন। প্রথম স্টেশনের নাম হবে উত্তরা নর্থ; এর পরের স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল।

এদিকে আগামী বছরের জুনে দেশে মেট্রোরেলের প্রথম পরিপূর্ণ ট্রেন সেট আসার কথা। এভাবে ওই সময় থেকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে ২৪টি ট্রেন সেট আসবে। একেকটি সেটে ৬টি করে কোচ থাকবে।
এই রেলের ট্রেনগুলো উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী টানবে। মেট্রোরেলে প্রতিটি স্টেশন হবে তিনতলা। সিঁড়ি বেয়ে প্রথমে উঠতে হবে দ্বিতীয় তলায়। সেখানে টিকেট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধাদি থাকবে। আর ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম থাকবে তৃতীয় তলায়।
ট্রেনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম। মেট্রোরেলে ‘প্রিপেইড কার্ড’ দিয়ে ট্রেনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। আবার টিকিট কেটেও থাকবে ভ্রমণের সুযোগ।