ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৯০

৩ বাংলাদেশির দেহে ওমিক্রনের নতুন উপধরন শনাক্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:০৩ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে তিনজনের দেহে করোনার ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। 

 

এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সেসব ব্যক্তির শরীর থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ নতুন উপধরন শনাক্ত করেন একদল গবেষক। 

 

তারা জানান, আক্রান্ত তিনজনই পুরুষ এবং যশোরের বাসিন্দা। তাদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুজনের বয়স ৮৫ বছর। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

 

গবেষকরা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে জ্বর, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে। BA.2.75 সাব-ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের BA.2 ভ্যারিয়েন্টের মতোই মিউটেশন দেখা যায়। তবে এর সঙ্গে দুটি রিভার্সন মিউটেশন G446S ও R493Q ঘটে।

 

তারা জানান, ওমিক্রনের এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট গত জুলাইয়ে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়। আর আগস্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধরা পড়ে। ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।ভবিষ্যতে এ ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

 

যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেলতে সক্ষম। ফলে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। 

 

তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে। এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ অব্যাহত থাকবে।

 

যবিপ্রবি অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে কাজ করছে গবেষক দলটি। 

 

দলের অন্য সদস্যরা হলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর