ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ৬ মাঘ ১৪৩১
good-food
১২০৪

৩৭ বছর পর সংস্কার, শুকানো হচ্ছে সংসদ লেক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:১৯ ২১ জানুয়ারি ২০১৯  

তলদেশের কাদা তুলে ফেলা হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবন লেকের। আর সংস্কারের এ কাজের জন্য শুরু হয়েছে পুরো লেক শুকিয়ে ফেলার কাজ ।

লেকের পানির নিচে জমে যাওয়া আড়াই ফুট কাদা অপসারণ এবং নিচে ফাটল আছে কি না, পরীক্ষা করতে এ কাজ চালাচ্ছে গণপূর্ত বিভাগ।

 

নির্মাণ কাজ শুরুর ৩৭ বছর পর এই প্রথম লেক সংস্কারের কাজ হাতে নেয়া হলো। এর আগে ১৯৯২ সালে একবার লেকের পানি সেচে ফেলা হয়েছিল।

 

সংসদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) ফজলুল হক জানান ‘পানি সেচে ফেলার পর প্রায় আড়াই ফুট কাদা তুলে ফেলা হবে। এরপর মূল সংস্কারের কাজে হাত দেয়া হবে।’

 

সংসদ ভবনের পুরো লেকের ১৫ ফুট বৃত্তাকার একটি অংশ বাদে পুরোটার নিচেই কংক্রিটের মেঝে। মোট

১৮ একরের নয়াভিরাম জাতীয় সংসদ লেকের পানির মূল উৎস বৃষ্টি। 

 

এই সংস্কার কাজে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শেষ হবে।

 

এদিকে পানি সরানোর আগে সংসদ লেকের মাছ ধরা হচ্ছে।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মৎস্য অধিপ্তর সংসদ লেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের পোনা ছাড়ে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদ লেকের মাছ ধরার জন্য আগে টিকেট বিক্রি করত পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব। তবে দরপত্র দিয়ে এবার মাছ বিক্রি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। মাছ ধরে ফেলার পর পুরোদমে পাম্প চালিয়ে পুরো পানি তুলে ফেলা হবে।

১৯৬১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের আমলে বর্তমান সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সে সময় স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে এই ভবনের স্থপতি নিয়োগ করা হয়।

তার প্রস্তাবেই লুই আই কান এই প্রকল্পের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার নকশায় তৈরি হওয়া দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।