ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৫৬

৪০ বছরের ইতিহাস ভাঙছে ফণী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৫ ২ মে ২০১৯  

ঘূর্ণিঝড় ফণীর গতিবেগ বেড়ে গেছে। বেশ শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে এটি। ৪ মের আগেও বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফনী। বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত করতে পারে ঝড়টি। ফলে এদেশে প্রবেশের সময় গতিবেগ বেশ কমে যাবে।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নামধারণ করে ফণী। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবর, ১৯৭৬ সালের পর এপ্রিল মাসে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়নি ভারত। 

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ফণী শুক্রবার ওড়িশা রাজ্য উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় গতিবেগ হতে পারে প্রায় ২০৫ কিলোমিটার। গেল চার দশকেরও (৪৩ বছর) বেশি সময় এত শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি দেশটি।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপট্টনমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ১৯৭৬ সালের পর বঙ্গোপসাগরে কখনই কোনো ঝড় এত শক্তিশালী রূপ ধারণ করেনি।

ফণীর বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ওড়িশায় এরই মধ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল দিয়েও বয়ে যেতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। একে সামাল দিতে এরই মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১ হাজার ৮৬ কোটি রুপি আগাম বরাদ্দ দিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে এখন মাত্র ৭০০ কিলোমিটার দূরে  ফণী।আগামীকাল সন্ধ্যা নাগাদ এটি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারত হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে শনিবার দুপুরে।   এদেশে থাকাকালীন এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায়৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

ভয়াবহতা বাড়ার শংকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ একই সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলায় সব পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। খোলা রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সব অফিস। উপকূলীয় ১৯ জেলায় প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর