ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪০

৫ পদ্ধতিতে হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৭ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অজান্তেই শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমে। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। সাধারণত, কোলেস্টেরল এক ধরনের মেদ, যা কোষের পর্দা তৈরি করে এবং কোষকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হরমোন, ভিটামিন-ডি এবং পিত্ত রস তৈরির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এটি।

 

শরীরে প্রধানত দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় - এইচডিএল ও এলডিএল। হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন ও লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। প্রথমটি ভালো কোলেস্টেরল আর দ্বিতীয়টি খারাপ। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ধমনীতে ফ্যাট জমে। ফলে হার্টে রক্ত প্রবাহ বাধার সম্মুক্ষীণ হয়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এবার জেনে নিন, এজন্য দৈনন্দিন জীবনে কী কী নিয়ম মেলে চলতে হবে...

 

ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, বিশেষ করে যেগুলোতে অত্যধিক লবণ-চিনি রয়েছে, সেগুলো না খাওয়ায় ভালো। বেশি তেল, মশলা, ঘি দেয়া খাবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। ওটমিল, কিডনি বিনস, আপেল, ব্রাসেলস স্প্রাউটস ও বাদাম খেতে পারেন। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়। এছাড়া দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকা হুয়ে প্রোটিন এলডিএল এবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে।

 

# অ্যালকোহল বা মদ্যপান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই মদ্যপান অবশ্যই ত্যাগ করুন। ধূমপান হার্ট ও হার্ট রেটের উপর চাপ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ত্যাগ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত হয়। এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ায়। কেবল ধূমপান ছাড়লেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকের বেশি কমে যায়!

 

# অত্য়ধিক ওজনের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। ধমনী ও রক্তনালীর ওপর যা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ ও গোটা শস্য খান। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত দরকার।

 

# কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন। শরীরকে সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। দিনের বেশিরভাগ সময় শুয়ে, বসে কাটাবেন না। মর্নিং ওয়াক, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, নাচ, এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম করতে পারেন। শরীরকে সর্বদা সক্রিয় রাখলে রক্তপ্রবাহে এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে। এলডিএল কমাতে যা সাহায্য করে।