ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৩০৪

৭০ দশকের নারীদের ফ্যাশন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৮ ১৪ মার্চ ২০১৯  

যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষ, সেই সাথে তাদের ফ্যাশন ও। মানুষের চাল-চলন, পোশাক-আষাক,সাজসজ্জা ইত্যাদি পরিবর্তনের পিছনে মিডিয়া একটি বড় ভূমিকা পালন করে।  সেই মিডিয়া কাঁপানো চলচ্চিত্রের তারকারা প্রায় নিয়ে আসেন নিত্য নতুন স্টাইল নিয়ে। সময়ের সাথে সাথে স্টাইলের ও পরিবর্তন হয়। 
৭০ দশক ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সময়। সিনেমার সাথে সাথে সে যুগ টা ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও রঙিন ছিল। সে যুগেই চালু হয়েছিল বল প্রিন্টের শাড়ি। ৭০ দশকের অনেক বাংলা সিনেমার নায়িকাদের পরনে এই শাড়ি খুব দেখা যেতো । ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক ও তখন প্রচলিত ছিলো। কাপড়ে জরি চুমকির কাজ খুব একটা দেখা যেতো না। ঘটিহাতা, পিস্তলহাতা, চুড়িহাতার ব্লাউজ যা সত্তর ও আশির দশকে বেশ জনপ্রিয় ছিল, তা এখন আবার ফিরে এসেছে।
লম্বা চুল ছিলো নায়িকাদের রুপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। লম্বা ঘন চুল ফুলিয়ে সুন্দর করে বাঁধার চল শুরু হয়েছিলো। অনেকে সেই চুলে রঙ বেরঙের ব্যান্ড পরতো। টানা টানা করে কাজল দিতে পছন্দ করতো সবাই। এখনকার মতো তখন অত মেকআপের সামগ্রীর প্রচলন ছিলো না। সে জন্য হালকা প্রসাধন দিয়েই সবাই বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হতো । টানা টানা করে কাজল দিতে পছন্দ করতো সবাই। অনেক সময় সিনেমায় নায়িকাদের কানের পাশে বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সাজতে দেখা যেতো। পোশাকের সাথে মিলিয়ে উজ্জ্বল রঙের অলঙ্কার পরা হতো। 
৭০ দশকে অনেক জনপ্রিয় একজন তারকা ছিলেন কোকিলকন্ঠি  রুনা লায়লা। এখনো বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণী তার প্রতিভা এবং তার স্টাইল নিখুঁতভাবেন অনুসরণ করে, একজন প্রধান ফ্যাশন আইকন হিসাবে। অন্যদিকে ববিতা, বাংলাদেশের একজন জাতীয় নায়িকা ছিলেন, যার ফ্যাশনের প্রভাব জাতির সুদূরসীমারেখার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের মদ্ধেও বিদ্যমান ছিল। রুনা লায়লা এবং  ববিতার চুলের শৈলী আজ ও ফ্যাশন হয়ে আছে।
অনেক সময় পুরনো জিনিস থেকেই ফিরে আসে নতুন ট্রেন্ড। তাই সময়ের পরিবর্তনের কারনে এখন শুধু তরুণ-তরুণীই নয় শিশু-বুড়ো সবাই হয়ে উঠেছে ফ্যাশন সচেতন। আর এই ফ্যাশন সচেতনদের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক সিজনেই বের করে আনতে হয় নতুনত্ব ।